Skip to main content
যোগাযোগ করুন

আমরা আমাদের প্রকল্প আরও আলোচনা করতে খুশি হব। ইউকে বা বাংলাদেশ দলের সাথে যোগাযোগ করুন:

ডঃ কেলি থর্নবার, ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটার, ইউকে

k.thornber@exeter.ac.uk

ডঃ মোঃ মিজানুর রহমান, ওয়ার্ল্ডফিশ, বাংলাদেশ

Muhammad.Rahman@cgiar.org

প্রকল্পের বিবরণ

প্রকল্পের বিবরণ

প্রকল্পের পটভূমি

মৎস্য চাষ একটি বিরাট সম্ভাবনাময় আন্তর্জাতিক শিল্প এবং এটি দ্রুত বর্ধনশীল খাদ্য উৎপাদনের একটি উল্লেখযোগ্য খাত। বাংলাদেশ বিশ্বে ৮ম মৎস্য উৎপাদনকারী দেশ এবং মৎস্য চাষ এদেশের মানুষের জীবিকা নির্বাহ ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। চিংড়ি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূল্যবান রপ্তানিযোগ্য পণ্য, ২০২০ সালে যার বাজার মূল্য ছিল ৯৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত ৫ বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো চিংড়ি শিল্পের সম্প্রসারণ, যা চিংড়ির ব্যাপক এবং ক্রমবর্ধমান রোগ সংক্রমণের কারনে বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

বঙ্গোপসাগরে জেলেরা ট্রলার দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে প্রজননক্ষম প্রাপ্তবয়স্ক (ব্রুডস্টক) চিংড়ি সংগ্রহ করে, যা বিভিন্ন চিংড়ি হ্যাচারিগুলোতে লার্ভা বা পোস্ট-লার্ভা (পিএল) উৎপাদন করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই পোস্ট-লার্ভা বা পোনা দিয়ে প্রায় ৩,০০,০০০ চিংড়ি চাষি খামারে চিংড়ি উৎপাদন করেন। পিএল-এর নির্ভরযোগ্য ও স্বাস্থ্যকর সরবরাহ নিশ্চিত করাই পুরো চিংড়ি শিল্পের দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্বের মূল চাবিকাঠি। নিম্নমানের পিএল খামারে রোগ সংক্রমণের বড় ঝুঁকি তৈরি করে এবং এর ফলে চিংড়ি উৎপাদন বহুলাংশে কমিয়ে আনে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানত, রোগ সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক ভাবে প্রজননক্ষম প্রাপ্তবয়স্ক চিংড়ির স্বাস্থ্যের অবনতি এবং ভাল মানের পানি সরবরাহের ঘাটতির কারণে পিএল-এর উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। এরকম অবস্থায়, অনেক হ্যাচারি বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের কক্সবাজার (দক্ষিণ-পূর্ব) অঞ্চলে মাত্র ৫৯ টি চিংড়ি হ্যাচারি সচল রয়েছে। এই প্রকল্পে, জৈবনিরাপত্তা ঝুঁকিগুলো বুঝতে এবং সম্ভাব্য সমাধান চিহ্নিত করতে আমরা ১৩টি হ্যাচারির সাথে কাজ করছি।

হ্যাচারি সেক্টরের অভ্যন্তরীণ উন্নত জৈবনিরাপত্তা ব্যবস্থা এই শিল্পকে টেকসই করার অন্যতম চাবিকাঠি। ভালো মানের জৈবনিরাপত্তা চর্চা চিংড়ির রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করবে এবং যে কোন ধরণের সংক্রমণ ও ক্ষতির সম্ভাবনাও হ্রাস করবে। এটি প্রাণী স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করবে, যার ফলে উৎপাদনশীলতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, স্থানীয় পরিবেশকে দূষিত করার জন্য দায়ী এবং জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলছে এমন সব রাসায়নিক ও ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তাও অনেক কমিয়ে দেবে।
এ সংক্রান্ত তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন : www.fao.org/fishery/statistics/software/fishstatj/en

প্রকল্প দল

এই প্রকল্পটি ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটার (University of Exeter), ওয়ার্ল্ডফিশ (WorldFish), এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট, ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার সায়েন্সের (Centre for Environment, Fisheries and Aquaculture Science) মধ্যে একটি অংশীদারিত্ব কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়িত। (হোমপেজ লিংক: https://www.cefas.co.uk/). ।

সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (Center for Communication Action Bangladesh) এই প্রকল্পের সহযোগীদের ডিজিটাল টুল তৈরিতে সহায়তা করেছে। (লিংক: https://c-cab.org/)

সেন্টার ফর সাসটেইনেবল অ্যাকুয়াকালচার ফিউচারস (ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার এবং সিইএফএএস)

কেলি থর্নবার - রির্সাচ ফেলো, সাস্টেইনেবল একুয়াকালচার

চার্লস টাইলার - অধ্যাপক, পরিবেশ বিষয়ক জীববিজ্ঞান

স্টিভ হিনক্লিফ - অধ্যাপক, হিউম্যান জিওগ্রাফী

লিসা বিকলে - ইন্ডাস্ট্রিয়াল পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চ ফেলো

ডেভিড বাস – প্রোটিস্টোলজিস্ট

ওয়ার্ল্ডফিশ

মোঃ মিজানুর রহমান - সিনিয়র অ্যাকুয়াকালচার সায়েন্টিস্ট

পার্থ দেবনাথ - একুয়াটিক এনিম্যাল হেলথ স্পেশালিস্ট

বিষ্ণুমূর্তি মোহন চাদাগ - প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট

সৈয়দ আবদুল্লাহ্ ওমর ফারুক - রির্সাচ অ্যাসিস্ট্যান্ট

মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ্ সরকার - রির্সাচ অ্যাসিস্ট্যান্ট

মোঃ আবির হাসান - রির্সাচ অ্যাসিস্ট্যান্ট

মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন - কান্ট্রি কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট

সেন্টার ফর কমিউনিকেশন এ্যাকশন বাংলাদেশ

জেইন সৈয়দ - ডিরেক্টর

ধন্যবাদ

হ্যাচারিগুলোর সহযোগীতা ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হতো না। হ্যাচারিগুলোতে আমাদের সকলকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং আমাদের সাথে অসংকোচে কাজ করার জন্য তাদের সবাইকে আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ।

এই প্রকল্পটি বায়োটেকনোলজি এবং বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস রিসার্চ কাউন্সিল-এর একটি রিসার্চ গ্রান্ট (Research Grant) দ্বারা অর্থায়িত।

সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট, ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার সায়েন্স (CEFAS)-এর অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ইউকে (UK) সরকারের (DEFRA) অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ODA)-এর অর্থায়ন পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এটি আমাদের শিল্প টেকসইকরণ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে। (লিংক)